images

বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম

মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

সংগ্রহে: মোহাম্মদ আলী (প্রধান শিক্ষক)

 

 

ভূমিকা: জাতীয় উন্নয়ন তরান্বিত করার জন্য শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জ্ঞান, দক্ষতা ও কাঙ্খিত জীবন লাভের জন্য সমাজ এবং জাতীর জীবনে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এতদসত্যেও বর্তমান বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। শিক্ষার অভাবেই বিশেষত: বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল দেশগুলো জাতীয় উন্নয়ণের গতিকে এগিয়ে দিতে পারছেনা। সাম্প্রতিক কালে বৈজ্ঞানিক, কম্পিউটার, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত পর্যায়ে অভাবনীয় অগ্রগতি হওয়া সত্বেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি ও পাইনাদী অধ্যুষিত বৃহত্তম অঞ্চলে স্বাধীনতার ১৯ (উনিশ) বৎসর পরেও কোন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। অত্র অঞ্চলের শিক্ষা দরদী জনগন দেরীতে হলেও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, সভ্যতার ইতিহাস প্রমাণ করেছে যুগে যুগে দেশে দেশে শিক্ষা মানুষকে সত্যিকার মর্যাদা দিয়েছে এবং জীবনকে পরিপূর্ণতা দান করেছে। আমাদের সংবিধানে শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তাই অত্র অঞ্চলের সাধারণ জনগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণের লক্ষে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ অনেক মিটিং, আলোচনা, পর্যালোচনার পর অনেকটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত হয়ে মিজমিজি পাইনাদী অঞ্চলের সংগম স্থল পাইনাদী গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তখন অত্র অঞ্চলে তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাদ্রাসা, দুইটি কিন্ডার গার্টেন স্বাধীনতার উত্তর কাল হইতে নিবু নিবু আলো বিকিরন করতেছিল।

বিদ্যালয়ের লেখাপড়া কার্যক্রমের সূচনা ঃ ২৬-১২-৮৯ইং তারিখে বিকাল ৪.০০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয় পরিচালনা আহবায়ক কমিটির একসভা বিদ্যালয় পরিচালনা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক জনাব মোঃ মুজিবুর রহমান সাহেবের সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ০৬-০১-৯০ইং তারিখ হতে বিদ্যালয়ের ক্লাশ (লেখাপড়ার কাজ) আরম্ভ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেই মতে সুনির্দিষ্ট ও নির্ধারিত সময় হতে বিদ্যালয়ের ক্লাশ যথাসময়ে আরম্ভ হয়।

মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রথম আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ ঃ মিজমিজি পাইনাদী অধ্যুষিত এলাকায় তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি সিনিয়র মাদ্রাসা, দুইটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছিল। অত্র এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে ১৫-১২-১৯৮৯ ইং তারিখ বিকাল ৫.০০ টার সময় মিজমিজি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জাগরনী সংসদে এক জরুরী সভায় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব মোঃ মুজিবুর রহমান সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মিজমিজি পাইনাদী এলাকার কেন্দ্রস্থলে ১৯৯০ সনের ১লা জানুয়ারি তারিখের মধ্যে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন এবং ক্লাশ শুরু করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনঃ ১লা ফেব্রুয়ারী ৯০ইং তারিখে আয়োজিত এক আড়ম্বর সভার মাধ্যমে মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের সম্মুখস্থ পূর্ব পাশের মাঠে সৌরভে ও গৌরবে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মিজমিজি পাইনাদী এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষিত হয়। উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন যিনি ইতিপূর্বে অত্র এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত কয়েকটি আলোচনা সভায় বলেছিলেন যে, মিজমিজি পাইনাদী এলাকায়, যে কোন স্থানে ১ লা জানুয়ারি ১৯৯০ইং তারিখে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।

মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল ঃ এই দেশের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে, টোল, মক্তব, মাদ্রাসা, পাঠশালা, প্রাথমিক বিদ্যালয় যাহাই হোক না কেন, এগুলো গড়ে তোলা ও রক্ষনাবেক্ষণের ব্যাপারে স্থানীয় জনগনই প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তারা প্রমাণ রেখেছেন, একটি গতিশীল সমাজের প্রাণকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষালয়। বিভিন্ন দেশের শিক্ষার ইতিহাস ও এই কথাই সাক্ষ্য দেয় যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা স্থানীয় জনগনের উদ্যোগ, সমর্থন এবং তত্ত্বাবধান ছাড়া সম্ভব নহে। মুসলমানগন শিক্ষা দীক্ষায় পশ্চাদপদ হওয়ার কারণে শিক্ষা বিস্তারে তেমন ভূমিকা পালন করতে পারে নাই। ফলশ্রুতিতে মুসলমানদের নামে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে নাই। ভারত বিভক্তির পরই মুসলিম সমাজে লেখাপড়ার কদর বৃদ্ধি পায়।

১৯৮৯ইং সনের শেষ সূর্য অস্তমিত হয়ে নতুন বৎসরের সূর্য উদয়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে এক মাইলফলক অধ্যায়ের সূচনা ঘটল তা হল এককালের প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কুলকুল নদ প্রবাহিত কালের স্বাক্ষর বহনকারী শীতলক্ষ্যা নদী বিধৌত জনপদ পাইনাদী মিজমিজি গ্রামের সংগমস্থল যার আয়তন ৩.৭০ বর্গ কি.মি এবং জনসংখ্যা প্রায় ৩৬৫৯২ জন। যেখানে এক অজপাড়া গাঁয়ের উৎপাদনশীল ধানের ফসলী জমিতে বাঁশ সিমেন্টের খুটি, টিনের চৌচালা সমন্বয়ে দাঁড় করানো হল একটি ৪ (চার) কক্ষ বিশিষ্ট ঘর। মহান আল্লাহ তা’আলার উপর অগাধ বিশ্বাস, প্রশংসা এবং হযরত মুহাম্মদ (স:) এর উপর দরুদ পাঠের মাধ্যমে উক্ত ঘরের ভিত্তি গড়ে উঠল। যার নাম মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়। ইহাই মিজমিজি পাইনাদী অধ্যুষিত এলাকার একমাত্র রাজনীতিমুক্ত প্রথম প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠার সময়কাল হল ১লা জানুয়ারি ১৯৯০ ইং ৩রা জামাদিউসসানি ১৪১০ হিজরী, ১৮ই পৌষ ১৩৯৬ বাংলা, রোজ সোমবার আট দশটি গ্রামের মতোই সম্মুখস্থ সবুজের সমারোহ প্রাকৃতিক দৃশ্য সেখানে তাকালেই চোখে ভেসে আসতো। তারই মাঝে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। এই ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচালক মরহুম ডঃ মুজাম্মেল হক সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা ও উৎসাহ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। এছাড়াও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও এলাকার বাসিন্দা, সম্মানিত অভিভাবকদের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ১২৬, ৭ম শ্রেণিতে ৬৭, ৮ম শ্রেণিতে ৪৫ সহ সর্বমোট ২৩৮ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ১২০১৫ (দৈর্ঘ্যপ্রস্থ) ৪ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের চৌচালা গৃহে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনে মরহুম রেকমত আলী সাহেবের সন্তান ও নাতিগণ এলাকার গন্যমান্য শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগের প্রতিসাড়া দিয়ে ৪০শতাংশ জমি দান করেন। তাহারা ভাবেন এলাকার ছেলেমেয়েরা অনেক দূরে গিয়ে লেখাপড়া করে। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এতদ অঞ্চলের মানুষ যাতে সমাজে লেখাপড়া শিখতে পারে সেজন্য মরহুম রেকমত আলী সাহেবের নামে স্কুলের নাম করণের নিমিত্তে উক্ত জমি দান করেছিলেন। ১৯৯০ইং সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, উদ্যোক্তা, কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, সহকারী প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দের অবদান, ত্যাগ ও সহযোগিতা চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকল্পে যারা মূল্যবান অবদান রেখে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের নামের তালিকা ঃ মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালে জনাব মোঃ মুজিবুর রহমানকে আহবায়ক ও জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ কমিটি যা ইতিপূর্বে গঠন করা হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা , উদ্যোগ ও মুখ্য ভূমিকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় সে সকল ব্যক্তিবর্গের নামের তালিকা নিম্নরুপ ঃ

নাম পিতার নাম ঠিকানা

১। জনাব মোঃ মুজিবুর রহমান মৃতঃ হাজী রজব আলী মিজমিজি ২। জনাব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মৃতঃ হাজী মুহাম্মদ আবুল হাশেম সিদ্ধিরগঞ্জ

৩। জনাব মোঃ আবদুর রহিম মেম্বর মৃতঃ জহির উদ্দীন পাইনাদী

৪। জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ মৃত ঃ হাজী আবদুল লতিফ চৌধুরী মিজমিজি

৫। জনাব মরহুম গাজী ইসমাইল হোসেন মৃত ঃ মোঃ লাল চাঁন পাইনাদী

৬। জনাব মরহুম মোজাম্মেল হক মোজাফ্ফর মৃতঃ হাজী শুক্কুর আলী মিজমিজি

৭। জনাব মোঃ ইসহাক মিয়া মৃতঃ হাজী আঃ ছালাম মিজমিজি

৮। জনাব মোঃ আহ্সান উল্লাহ্ ইঞ্জিনিয়ার মৃত ঃ মোঃ রফিজ উদ্দিন মিজমিজি

৯। জনাব মরহুম আশ্রাব আলী মৃত ঃ কেরামত আলী মাতাবর পাইনাদী

১০। জনাব মরহুম আবুল হাসেম জুলহাস মৃত ঃ মোহাম্মদ ওমর আলী মিজমিজি

১১। জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃত ঃ মোহাম্মদ দারোগা আলী বেপারী মিজমিজি

১২। জনাব মোঃ ফজলুল হক মৃত ঃ মোঃ বশির উদ্দিন মিজমিজি

১৩। জনাব মোহাম্মদ আমীর আলী মৃত মনসুর আলী মাতাবর পাইনাদী

১৪। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মৃত মনসুর আলী মাতাবর পাইনাদী

১৫। জনাব মোহাম্দ ইব্রাহীম মৃতঃ জমির আলী মাতবর পাইনাদী

১৬। জনাব মোহাম্মদ ইসরাফিল মৃতঃ জমির আলী মাতবর পাইনাদী

১৭। জনাব মরহুম হাবিব উল্লাহ মৃতঃ জমির আলী মাতবর পাইনাদী

১৮। জনাব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম মৃতঃ জহির উদ্দীন পাইনাদী

১৯। জনাব মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া মৃতঃ জহির উদ্দীন পাইনাদী

২০। জনাব মরহুম ডঃ মোজাম্মেল হক- সাবেক মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

 

** বিদ্যালয়ের আজীবন দাতাবৃন্দের নামের তালিকা ঃ

 

নাম পিতার নাম ঠিকানা

১। জনাব মোঃ মজিবুর রহমান মৃতঃ হাজী রজব আলী মিজমিজি

২। জনাব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মৃত ঃ হাজী মুহাম্মদ আবুল হাশেম সিদ্ধিরগঞ্জ

৩। জনাব মোঃ আবদুর রহিম মেম্বর মৃতঃ জহির উদ্দীন পাইনাদী

৪। জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ মৃত ঃ হাজী আবদুল লতিফ চৌধুরী মিজমিজি

৫। জনাব মরহুম গাজী ইসমাইল হোসেন মৃতঃ মোঃ লাল চাঁন পাইনাদী

৬। জনাব মরহুম মোজাম্মেল হক মোজাফ্ফর মৃতঃ হাজী শুক্কুর আলী মিজমিজি

৭। জনাব মোঃ ইসহাক মিয়া মৃত ঃ হাজী আঃ ছালাম মিজমিজি

৮। জনাব মোঃ আহ্সান উল্লাহ্ ইঞ্জিনিয়ার মৃতঃ মোঃ রফিজ উদ্দিন মিজমিজি

৯। জনাব মরহুম আশ্রাব আলী মৃতঃ কেরামত আলী মাতাব্বর পাইনাদী

১০। জনাব মরহুম আবুল হাসেম জুলহাস মৃতঃ মোহাম্মদ ওমর আলী মিজমিজি

১১। জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃতঃ মোহাম্মদ দারোগা আলী বেপারী মিজমিজি

১২। জনাব মোঃ ফজলুল হক মৃতঃ মোঃ বশির উদ্দিন মিজমিজি

১৩। জনাব মোহাম্মদ আমীর আলী মৃতঃ মনসুর আলী মাতাবর পাইনাদী

১৪। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মৃতঃ মনসুর আলী মাতাবর পাইনাদী

১৫। জনাব মোহাম্দ ইব্রাহীম মৃতঃ জমির আলী মাতবর পাইনাদী

১৬। জনাব মরহুম মোহম্মদ ইসরাফিল মৃতঃ জমির আলী মাতবর পাইনাদী

১৭। জনাব মরহুম হাবিব উল্লাহ মৃতঃ জমির আলী মাতবর পাইনাদী

১৮। জনাব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম মৃতঃ জহির উদ্দীন পাইনাদী

১৯। জনাব মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া মৃতঃ জহির উদ্দীন পাইনাদী

২০। জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন মৃতঃ সাইজ উদ্দিন পাইনাদী

২১। জনাব ইউসুফ আলী মৃতঃ সুরুজ্জামান মুন্সী পাইনাদী

২২। জনাব ঈমান আলী মৃতঃ সুরুজ্জামান মুন্সী পাইনাদী

২৩। জনাব আবদুল লতিফ মৃতঃ মেরাজ উদ্দীন মুন্সী পাইনাদী

২৪। জনাব আহসান উল্লাহ মৃতঃ আবদুল খালেক মেম্বার পাইনাদী

২৫। জনাব ফজর আলী মৃতঃ আবদুল খালেক মেম্বার পাইনাদী

২৬। জনাব আশ্রাফ আলী মৃতঃ আবদুল খালেক মেম্বার পাইনাদী

২৭। জনাব আবু তালেব মৃতঃ মোহাম্মদ হোসেন মিজমিজি

২৮। জনাব মোঃ মুনসুর আলী মাস্টার মৃতঃ মোহাম্মদ ছায়েদ আলী পাইনাদী

২৯। জনাব গোলাম রাব্বানী মৃতঃ আলহাজ্ব মোহাম্মদ তোরাব আলী পাইনাদী

৩০। জনাব আব্দুল মতিন মাস্টার মৃতঃ হাফিজুদ্দীন শিমরাইল

৩১। জনাব মোঃ ছমির আলী মৃতঃ নাজিম উদ্দিন পাইনাদী

৩২। জনাব নূও মোহাম্মদ মৃতঃ হাজী চাঁন মিয়া বেপারী মিজমিজি

৩৩। মোঃ আনোয়ার ইসলাম মৃতঃ মফিজ উদ্দিন পাইনাদী

৩৪। জনাব হাজী ইউনুস মিয়া মৃতঃ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ পাইনাদী

৩৫। জনাব আহম্মদ উল্লাহ মোঃ আফাজ উদ্দিন পাইনাদী

৩৬। জনাব মোঃ মহিউদ্দিন মৃতঃ মোঃ আবেদ আলী মেম্বার মিজমিজি

৩৭। জনাব আবদুল কাদির খোকন জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার পাইনাদী

 

আজীবন দাতা সদস্য ছাড়াও যাদের একান্ত ব্যক্তিগত প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টি আজ প্রতিষ্ঠার যে সোপানে পা রেখেছেন তাদের মধ্যে মরহুম ডঃ মহসীন আলী, সহকারী পরিচালক, মাধ্যমিক উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, ঢাকা অঞ্চল, জনাব সৈয়দ শামসুল খাল্ক জিলা শিক্ষা অফিসার নারায়ণগঞ্জ এবং বিভিন্ন শিক্ষা অফিসের কর্মচারীবৃন্দদের অবদান কোন অংশেই কম নহে।

উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গের জমিদান, আর্থিক অনুদান, আসবাবপত্রদান, কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের বিনিময়ে মূলত মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এছাড়াও বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় দুইশতাধিক ব্যক্তিবর্গের প্রত্যক্ষ আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ দায়িত্ব অর্পন ও পালন ঃ গত ১৫-১২-৮৯ইং তারিখের জরুরী সভায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা কল্পে ৫১ (একান্ন) সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয়, সে কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ বিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক নির্মাণকার্য্য ২৫-১২-৮৯ইং তারিখের মধ্যে সমাপ্ত করার জন্য এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ১ জানুয়ারি, ১৯৯০ইং তারিখ হতে শুরু করার জন্য ৫ (পাঁচ) টি উপ- কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গুলোর পরিচয় ও সিদ্ধান্ত নিম্নরুপ ঃ

বিশেষ দায়িত্ব অর্পন ও পালনের সিদ্ধান্ত সমূহ ম্যানেজিং কমিটির ০৪ নং সিদ্ধান্তে অর্ন্তভূক্ত করা হয় এবং দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।

৪/১- জনাব মোঃ ইসহাক মিয়াকে আহবায়ক করে একটি অর্থ সংগ্রহ উপ-কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটিতে মোট ২৪ (চব্বিশ) জন সদস্য রাখা হয়। অর্থ সংগ্রহে প্রতিশ্রুত ব্যক্তিদের নিকট সকাল বিকাল দৌড়ঝাপ বিনামূল্যে, বাকীতে আসবাবপত্র সংগ্রহ, প্রতিদিন বিদ্যালয়ের খোঁজ খবর নেয়া প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আন্তরিকতার বহি:প্রকাশ ঘটেছে।

৪/২- নির্মাণ উপকরণ, শিক্ষা উপকরণ, বেঞ্চ, টেবিল ইত্যাদি সংগ্রহের জন্য জনাব গাজী ইসমাইল হোসেনকে আহবায়ক করে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়ণকল্পে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কয়েকজন মন্ত্রীকে বিদ্যালয় ভিত্তিক অনুষ্ঠানে অতিথি করে আনয়ণ উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

৪/৩- গৃহ নির্মাণ এবং বিদ্যালয়ের নির্মাণ কার্য্য সমাধানের জন্য জনাব আশ্রাব আলীকে আহবায়ক করে একটি ৪ (চার) সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠন করা হয়। পার্শ্ববর্তী পুকুর হতে বিনামূল্যে বিদ্যালয়ের মাঠের জন্য মাটি সংগ্রহ এবং কৃচ্ছতার সাথে বিদ্যালয়ের গৃহ নির্মাণে শারীরিক পরিশ্রম এক অনন্য ঘটনা।

৪/৪- বিদ্যালয়ের নামে জমি সংগ্রহ, রেজিষ্ট্রেশন এবং প্রয়োজনীয় বাকী জমির ব্যবস্থা করার জন্য জনাব আবুল হাশেম জুলহাসকে আহবায়ক করে ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। জমি সংগ্রহে জনাব আবদুর রহিম মেম্বারের মুখ্য ভুমিকা এখানে স্মরণযোগ্য। তিনি ১৯৮৮ সাথে ইউপি মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অত্র অঞ্চলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার চিন্তা ভাবনা করেন।

৪/৫- ছাত্র সংগ্রহ, ভর্তি ও বিদ্যালয়ের যাবতীয় একাডেমিক দিক চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদকে আহবায়ক করে ১ (এক) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ- কমিটি গঠন করা হয়। তিনি কমিটির পক্ষে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পূর্ব পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হন। বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের কার্যক্রম নিজ বাসায় সম্পাদন করে শিক্ষার্থীদের প্রতি তার আন্তরিকতার অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, অনুমতি প্রাপ্তি ও বিদ্যালয়টিকে সরকারী বিধি মোতাবেক পরিচালনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

** বিশেষ দায়িত্ব পালনঃ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোঃ মজিবুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি জনাব মোঃ আবদুর রহিম ও প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যান্য সদস্যদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে আজও আমাদের পেছনের দিকে তাকাতে হয়নি।

শিক্ষকদের বিশেষ সহযোগিতাঃ স্মরণযোগ্য যে সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবু সুভাষ চন্দ্র তরফদার, সহকারী শিক্ষক আশরাফ আজিজ এবং অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলী মামুন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে সার্বিক সহযোগিতা করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্নে ৪ জন শিক্ষককে নিয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। শিক্ষকবৃন্দ হলেন- যথাক্রমে জনাব মোহাম্মদ আলী, নাসিমা খাতুন, মোঃ রুহুল আমীন খান, বাবু স্বপন কুমার গুহ। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে উক্ত শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণার্থে ০৭ (সাত) মাসের বেতন গ্রহণ করেননি। শিক্ষকদের এ দান অবশ্যই স্মরনীয় ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। উক্ত শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয়ের ঘন্টা পিটানো থেকে শুরু করে চিঠি বিলি করা, পানিতে দাঁড়িয়ে ক্লাস করানো ছাড়াও বিদ্যালয়ের স্বার্থে এহেন কাজ নেই যে তারা করেননি। এছাড়াও পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের জমি ক্রয় ও উন্নয়ন কাজ করার লক্ষ্যে শিক্ষকগণ প্রায় ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা এমপিও হতে দান করেন। এতে শিক্ষকদের মহৎ হৃদয়ের পরিচয় বহন করে।

উল্লেখ্য যে উপরে উল্লেখিত উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে বিদ্যালয় পরিচালনার নিমিত্তে গঠিত ৫১ (একান্ন) সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বর্ণিত শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ যে আন্তরিকতার পরিচয় দান করেছেন। তার সাফল্যই আজকের প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি সে স্বাক্ষরই বহন করতেছে।

 

বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালনা আহবায়ক কমিটি/ উন্নয়ণ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা নিম্নরুপঃ

 

১। জনাব মোঃ মজিবুর রহমান ২। জনাব আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার

৩। জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার ৪। জনাব হাজী আমির উদ্দিন

৫। জনাব আব্দুল আলী ৬। জনাব আবু তালেব

৭। জনাব মোজাম্মেল হক মোজাফ্ফর ৮। জনাব মোঃ ইসহাক মিয়া

৯। জনাব আবুল হাসেম জুলহাস ১০। জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ

১১। জনাব গাজী ইসমাইল হোসেন ১২। জনাব শহিদুল ইসলাম

১৩। মোঃ মুসলীম ১৪। জনাব আঃ বারেক মেম্বার

১৫। জনাব মোঃ বাদল হোসেন ১৬। জনাব আঃ মতিন

১৭। জনাব আশ্রাব আলী মেম্বার ১৮। জনাব নুরুল হক মাষ্টার

১৯। জনাব জাহাঙ্গীর আলম ২০। মোঃ ছমির আলী মুন্সি

২১। জনাব আঃ আউয়াল ২২। জনাব মজিবুর রহমান মজি

২৩। জনাব নুরুল ইসলাম ২৪। জনাব তাহের আলী মেম্বার

২৫। জনাব বাদশা মিয়া ২৬। জনাব হাজী মোন্তাজ আলী

২৭। জনাব সিরাজুল ইসলাম ২৮। জনাব নাজিম উদ্দিন

২৯। জনাব সুবেদ আলী মাষ্টার ৩০। জনাব আবুল কাশেম

৩১। জনাব মোঃ ফজলুল হক ৩২। জনাব খবির উদ্দিন আহমদ

৩৩। জনাব আঃ রব ৩৪। জনাব আঃ গাফ্ফার

৩৫। জনাব মোঃ মোতালিব ৩৬। জনাব ফরহাদ হোসেন

৩৭। জনাব আলী আকবর ৩৮। জনাব আলমগীর হোসেন

৩৯। জনাব আশ্রাব আলী ৪০। জনাব আলমগীর হোসেন

৪১। জনাব গোলজার হোসেন ৪২। জনাব আবু তাহের

৪৩। জনাব মোখতারুজ্জামান ৪৪। জনাব মিসির আলী

৪৫। জনাব আব্দুর রশিদ ৪৬। জনাব মোঃ মোস্তফা

৪৭। জনাব মোঃ মোতালেব হোসেন ৪৮। জনাব আঃ জাব্বার

৪৯। জনাব মোঃ কফিল উদ্দিন আহমেদ ৫০। জনাব মোঃ মুনছুর আলী মাষ্টার

৫১। জনাব মোহাম্মদ আলী।

 

বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

 

১। বিদ্যালয়টি ০১/০১/১৯৯০ই ং তারিখ হতে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্থাপনের পূর্বানুমতি লাভ করে- স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং- নারা-১০৫/৩০৩৮/৩ক তারিখ- ২৩/০৬/১৯৯০ইং।

২। বিদ্যালয়টি০১/০১/১৯৯০ই ং তারিখ হতে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে ১ (এক) বৎসরের জন্য প্রথম একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং নারা-১০৫/৬০২৬/৩ তারিখ-০৭/০৮/১৯৯০ইং।

৩। বিদ্যালয়টি০১/০১/১৯৯০ই ং তারিখ- হতে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং- ৯৩৮১/৩-ম তারিখ- ০১/০৭/১৯৯০ইং।

৪। বিদ্যালয়টি০১/০১/১৯৯১ই ং তারিখ হতে নবম শ্রেণী খোলার অনুমতি লাভ করে। স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং-১৭৫(৮) তারিখ- ১২/০২/১৯৯১ইং।

৫। বিদ্যালয়টি ০১-০১-১৯৯২ইং শিক্ষা বর্ষ হতে প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে। স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং-অ৩৮৭ (ঘ) নার ২০৮০ তারিখ- ০৯-০৩-১৯৯৪ ইং।

৬। বিদ্যালয়টি ০১-০১-২০০৬ইং তারিখ হতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর এস. এস.সি ভোকেশনাল কোর্সের স্বীকৃতি লাভ করে। স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং কাকশিবো/ক (ভোক)২০০৫/৩৫ তারিখ ২৮-১২-২০০৫ খ্রিঃ।

 

 

বিষয় সমূহ খোলার স্বীকৃতি

(১) বিদ্যালয়টি ০১/০১/২০০৩ইং শিক্ষাবর্ষ হতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা খোলার অনুমতি লাভ করে। স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং- অ-৩৮৭(ঘ)/ নার/৭৮৬৬ তারিখ- ০৫/০২/২০০৩ইং।

(২) বিদ্যালয়টি ০১/০১/২০০৬ইং তারিখ হতে কম্পিউটার বিভাগ খোলার অনুমতি লাভ করে।স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং-অ-৩৮৭ (ঘ) নার/ ৪০৯১ তারিখ- ২১/০৮/২০০৬ইং।

(৩) বিদ্যালয়টি ০১/০১/২০১০ইং তারিখ হতে কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষা বিষয় খোলার অনুমতি লাভ করে। স্বীকৃতি পত্রের স্মারক নং-অ/৩৮৭(ঘ)নার/৩৪১৪ তারিখ-১২/০৭/২০১০ইং।

(৪) বিদ্যালয়টি ২৯/০১/২০১২ইং তারিখ হইতে ডাবল শিফট খোলার অনুমতি লাভ করে। সূত্র- শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২৮/৭/২০১১ তারিখের শিম/শাঃ ১১/৫(১)৯৯/৩৪২২ স্মারক নং মোতাবেক এবং স্মারক নং অ/৩৮৭ (ধ) নার/ ৫২৬৫ তারিখ ৩০/০১/২০১২ইং

বিদ্যালয়ের এম.পি.ও.ভুক্তি

১। বিদ্যালয়টি ০১/০৭/১৯৯৩ইং তারিখ হতে প্রথম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এম.পি.ও ভুক্ত হয়। এম.পি.ও ভুক্তির স্মারক নং- ১৩৮০৫/৬০০-ম তারিখ-১৮/১০/১৯৯৩ইং।

২। বিদ্যালয়টি ০১/০৬/২০১০ইং তারিখ হতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেনারেল ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্কস ট্রেডের এম.পি.ও. ভুক্ত হয়। স্মারক নং- শিম/শা-১৩/এমপিও-১২/২০০৯/২০৯ তারিখ- ৩১ মে ২০১০, ১৭ জৈষ্ঠ ১৪১৭ বঙ্গাব্দ।

৩। বিদ্যালয়টি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ট্রেডের এমপিও ভূক্তি লাভ ঃ তারিখ ঃ ০১-০৫-২০১৪ইং

নিরীক্ষা প্রতিবেদন ঃ পরিচালক, পরিদর্শন ও নিরীক্ষণ অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ঢাকা এর স্মারক নং ডি/আই/এ/অডিট ২০৫ (১০)সি এ-১৮/১৮২৬ তারিখে ২/১১৯৯১ঈ এ কে দেব এন্ড কোং চার্টাড এ্যাকাউন্ট্যান্টস মতিঝিল সি/এ অনুসারে ৩০শে জুন ১৯৯০ ইং তারিখ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় রেকর্ড পত্র আর্থিক বৎসরের আয় ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা কার্য সম্পাদন করিয়াছে।

 

বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য-

 

১। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট নারায়ণগঞ্জ জোন কর্তৃক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের প্রটোটাইপ তিনকক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাল- ১৯৯৪-১৯৯৫ইং পর্যন্ত। যার নির্মাণ কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় গত ২১/১১/১৯৯৪ইং তারিখে প্রকাশিত হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধার্য্য করা ছিল ৭,৮১,৬৬৭/- (সাত লক্ষ একাশি হাজার ছয়শত উনসত্তর) টাকা মাত্র।

২। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট নারায়ণগঞ্জ জোন কর্তৃক সরকারী অর্থায়নে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে “নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ণ (সরকারী ও বেসরকারী)” পূর্নবাসন প্রকল্পের অধীনে তিনকক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাল- ২০০১-২০০২ইং পর্যন্ত। যার নির্মাণ কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ২৬/০৭/২০০৭ইং তারিখে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধার্য্য করা হয়েছে ১৭,৫০,০০০/- (সতের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মাত্র।

৩। বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের তিনকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়। নির্মাণ কাল- ১৫/১২/২০০৫- ০৯/০৮/২০০৮ইং সাল পর্যন্ত। উক্ত ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭,৬৬,৮৯৬/- (সাত লক্ষ ছেষট্টি হাজার ছয়শত ছিয়ানব্বই) টাকা মাত্র।

৪। বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের তিনকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন সিঁড়িসহ নির্মিত হয়। নির্মাণ কাল- ০৯/০৮/২০০৮- ২৭/০৬/২০০৯ইং সাল পর্যন্ত। উক্ত ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০,৬৯,৩২৫/- (দশ লক্ষ উনসত্তর হাজার তিনশত পঁচিশ) টাকা মাত্র।

৫। বিদ্যালয়ের উত্তর পশ্চিম কোনাকোনি ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। নির্মাণকাল- ০৯/০৮/২০০৮ইং- ২০/০২/২০০৯ইং পর্যন্ত।

৬। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল ও অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জোন কর্তৃক সরকারী অর্থায়নে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে তিনকক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাল- ৩১/০৮/২০০৮-৩১/১২/২০১১ইং পর্যন্ত। যার নির্মাণ কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ..../..../.... ইং তারিখে দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধার্য্য করা হয়েছে ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ টাকা) টাকা মাত্র।

৭। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জোন কর্তৃক সরকারি অর্থায়নে বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বে ছয়তলা ভিত্তিপ্রস্তর সম্বলিত একতলা ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। জুন,২০১৭ইং হতে জুলাই ২০১৮ইং পর্যন্ত। যার নির্মাণ কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ১০/০১/২০১৭ইং তারিখে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধার্য্য করা হয়েছে ৭৫,৭১,০৯১/- (পচাত্তর লক্ষ একাত্তর হাজার একানব্বই) টাকা মাত্র।

৭। বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে উত্তর পাশের তিনকক্ষ বিশিষ্ট তিনতলা ভবন সিঁড়িসহ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাল- ০৮/০৫/২০১০-১৫/০১/২০১১ইং পর্যন্ত। উক্ত ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২,৪৮,০৩৯/- (বার লক্ষ আটচল্লিশ হাজার উনচল্লিশ টাকা মাত্র।

৮। বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে তিনকক্ষ বিশিষ্ট তিনতলা ভবন সিঁড়িসহ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাল- ১৮/০১/২০১২ইং পর্যন্ত।

৯। অডিটরিয়াম ভবন নির্মানঃ

তারিখ ঃ ০৭-১০-২০১৩ইং হইতে ০৫-০৪-২০১৪ইং পর্যন্ত।

 

১০। অডিটরিয়ামের উপর দ্বিতল ভবন নির্মানঃ

তারিখ ঃ ২৮-০৬-২০১৪ইং হইতে ২৭-১২-২০১৪ইং পর্যন্ত।

এস.এস. স্টীল দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মাণ- ২৮/০৬/২০১৪ইং।

বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড ঃ

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্নে ৩১/০১/১৯৯০ইং তারিখে প্রথম নিয়োগ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ০৪ (চার) জন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ প্রদান করা হয়। উক্ত নিয়োগ উপ কমিটি সদস্য পদ যারা অলংকৃত করেন তাদের নামের তালিকা নিম্নরুপঃ

১। জনাব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ২। জনাব মোঃ মজিবুর রহমান

৩। জনাব মোঃ আহসাল উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার ৪। মোঃ ইসহাক মিয়া

৫। জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ ৬। জনাব গাজী ইসমাইল হোসেন

৭। জনাব আবদুর রহিম মেম্বার ৮। জনাব মোঃ ফজলুল হক

৯। জনাব আবুল হাশেম জুলহাস ১০। জনাব খবির উদ্দিন আহমেদ

১১। জনাব এস.এম হাসানুজ্জামান ১২। জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমান

১৩। জনাব এম এ আজিজ

নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সাময়িক ভাবে প্রথম ০৪ (চার) জন শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ করেন। উক্ত শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের নামের তালিকা নিম্নরুপ।

১। বাবু স্বপন কুমার গুহ- সহকারী শিক্ষক- গণিত

২। জনাব নাছিমা খাতুন- সহকারী শিক্ষক- বাংলা

৩। জনাব রুহুল আমীন খান- সহাকারী শিক্ষক- বাংলা

৪। মোহাম্মদ আলী- সহকারী শিক্ষক- ইসলাম শিক্ষা

প্রতিষ্ঠা লগ্নে বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা ও বেতনের হার ঃ

৮ম শ্রেণী ৪৪ জন বেতনের হার ২৫.০০ টাকা

৭ম শ্রেণী ৬৭ জন বেতনের হার ২০.০০ টাকা

৬ষ্ঠ শ্রেণী ১২৬ জন বেতনের হার ১৫.০০ টাকা।

মোট ছাত্র/ছাত্রী ২৩৭ জন।

উপসংহারঃ এ লেখাটি একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা। একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা, হাসি-কান্না জড়িয়ে থাকে, তার বিস্তারিত বর্ণনা এই নিবন্ধে উল্লেখ করা সম্ভব হয় নাই। সময়ের সল্পতার দরুন পরিপূর্ণ ইতিহাস প্রকাশ পায় নাই। তাৎক্ষণিকভাবে হাতের কাছে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে ও স্মরণ করা গেছে তাই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার জন্য পরিশ্রম করে যারা জীবিত অবস্থায় আছে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং যারা প্রয়াত হয়েছেন মরহুম রেকমত আলী সাহেব সহ তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে অনেক স্মৃতি মাথায় রেখে এবং ভবিষ্যতে মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস নিবন্ধিত করার স্বপ্ন দেখে লেখার সমাপ্তি টানছি।

আল্লাহ হাফেজ